২০১৫ সালের বিশ্বকাপের মতো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময়ও অনেক টিম ম্যানেজমেন্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের স্ত্রী বা বান্ধবীদের একই ঘরে থাকতে দেয়নি। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টও এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্যানেজমেন্টের তরফে সমস্ত ক্রিকেটারকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও খেলোয়াড় তার স্ত্রীর সঙ্গে একই ঘরে থাকতে পারবেন না। কিন্তু বিষয়টি নজরে পড়েনি পাকিস্তান দলের প্রাক্তন স্পিনার সাকলিন মুস্তাকের।
স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে দিতে চাননি সাকলিন। এরপর এমন কাজ করেন যে সাকলিন, যা শুনে হুঁশ উড়ে যেতে পারে। স্ত্রী এবং বান্ধবীদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভ্রমণের অনুমতি প্রসঙ্গে সাকলিন প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময় তার হোটেলের ঘরের একটি আলমারিতে স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে আমরা স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে ঘুরছিলাম। সেমিফাইনালের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছিল, এখন স্ত্রীদের একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “বউ সানাকে বললাম তুমি বাড়ি যাও, এখানে থাকবে না। সে আমার সঙ্গে হোটেলের ঘরে থাকত। ম্যানেজার বা কোচ এলে আমি তাকে আলমারিতে লুকিয়ে থাকতে বলতাম। একদিন সহ খেলোয়াড় আজহার মেহমুদ এবং মহম্মদ ইউসুফ রুমে আসেন এবং কয়েক মিনিট পরে তারা হাসতে শুরু করেন। তারা বলেছিলেন যে তারা জানে যে আমার স্ত্রী রুমে আছে, তাই সে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে আসতে পারে।”