টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসেছে মরুদেশে। স্থানীয় পরিবেশ, পিচ ও পরিস্থিতির সঙ্গে যে দল দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে, তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি। খেতাব জয়ের পাঁচ জোরালো দাবিদারের তালিকায় রয়েছে ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। আজ তুলে ধরা হল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার শক্তি-দুর্বলতা।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তান বরাবরই শক্তিশালী দল। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে। তাই কুড়ির বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট বলা হচ্ছে বাবর আজমদের। দু’বারের সেমি-ফাইনালিস্ট তারা। একবারের রানার্স-আপ। ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন।
টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ভালোমন্দে মেশানো। শেষ দু’বার সুপার টেনের গণ্ডি তারা টপকাতে পারেনি। কিন্তু এবারের প্রতিযোগিতার আসর যেহেতু আরব আমিরশাহিতে, তাই বাবরদের হয়ে অনেকেই বাজি ধরছেন।
মরুদেশে পাক ক্রিকেটাররা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পাকিস্তান দলে একঝাঁক নতুন ক্রিকেটার যেমন সুযোগ পেয়েছেন, তেমনি ভরসা রাখা হয়েছে সিনিয়রদের উপরও। শেষ মুহূর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন সরফরাজ আহমেদ, ফকর জামানরা। পাকিস্তান কতটা প্রস্তুত সেটা প্রস্তুতি ম্যাচেই ফুটে উঠেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাত উইকেটে হারিয়ে মনোবল বাড়িয়ে নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদিরা। সুপার টুয়েলভে পাকিস্তান রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। প্রথম ম্যাচেই তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। এই ম্যাতে যারা জিতবে, তারা সেমি-ফাইনালে ওঠার দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে যাবে। খেলতে হবে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাছাই পর্ব থেকে উন্নীত দু’টি দলের বিরুদ্ধে। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
অধিনায়ক বাবর আজম দুরন্ত ছন্দে। তাঁর ব্যাটেই দ্বিতীয়বার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন পাকিস্তানের সমর্থকরা। এছাড়া রয়েছেন ফকর জামান, মহম্মদ রিজওয়ানের মতো স্পেশালিস্ট টি-২০ ব্যাটসম্যান। গতির ক্রিকেটে শুধু তারুণ্যের উপর ভরসা রাখেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
তারা সুযোগ দিয়েছে মহম্মদ হাফিজের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে। কাজে লাগতে পারে সরফরাজ আহমেদ, হায়দার আলি, শোয়েব মালিকদের অভিজ্ঞতাও। পাকিস্তানের পেস বোলিং বরাবরই শক্তিশালী। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, হাসান আলিরা ফর্মে আছেন। অন্তর্দ্বন্দ্ব পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় শত্রু। বাবর আজমের উপর চাপ বাড়াতে শেষ মুহূর্তে দলে ঢোকানো হয়েছে সরফরাজ আহমেদ, ফকর জামানের মতো সিনিয়রদের।
যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি পাক ক্রিকেট মহলে। যদিও অধিনায়ক বাবর এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কীভাবে তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন সেটাই দেখার। তাছাড়া নতুন কোচ ম্যাথু হেডেনের সঙ্গে ক্রিকেটাররা কতটা মানিয়ে নিতে পেরেছেন, তা সময়ই বলবে।