ম্যাজিক্যাল ১৭ তম ওভারে বাংলার স্পিনারের কাঁধে চড়েই কঠিন ম্যাচে উতরে গেল কোহলির দল।
ম্যাক্সওয়েল জাদুতে খেলা কোহলীদের। এদিন কোহলির দলে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করে যদি নায়ক হক ম্যাক্সওয়েল, তাহলে বল হাতে ৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে জয়ের আরেক নায়ক বাংলার স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। তাও একই ওভারে। ১৭ তম ওভারে বাংলার স্পিনারের কাঁধে চড়েই কঠিন ম্যাচে উতরে গেল কোহলির দল। ২৪ বলে ৮ উইকেটে সানরাইজার্সের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান। ক্রিজে জনি বেয়ারস্টো এবং মনীশ পান্ডে।
কোহলীদের প্রায় নাজেহাল করে দিয়েছিল সাংরাইজার। পরিস্থিতিতে এসে ১৭তম ওভারে বেয়ারস্টো, পান্ডে এবং সামাদকে ফিরিয়ে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিলেন গত মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করা বাংলার এই স্পিনার। এর আগে চেন্নাইয়ে এদিন টস জিতে আরসিবি’কে প্রথমে ব্যাটিং’য়ের আমন্ত্রণ জানান সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তুলনামূলক মন্থর চেন্নাই’য়ের পিচে আরসিবি’র হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে সফল গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ৪১ বলে ৫৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে আরসিবি।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তাঁর ৪১ বলে ৫৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে আরসিবি। অজি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ৩টি ছয়। অধিনায়ক কোহলি করেন ২৯ বলে ৩৩। আঁটোসাঁটো বোলিং’য়ে কোহলির দলকে দেড়শোর মধ্যে বেঁধে রাখেন রশিদ খান-জেসন হোল্ডাররা। তিন উইকেট নিয়ে হোল্ডার এদিন সবচেয়ে সফল হলেও সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করেন আফগান স্পিনার রশিদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। জবাবে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট শুরুতে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে মনীশ পান্ডেকে নিয়ে সানরাইজার্সের জয়ের রাস্তা সুগম করে দেন অধিনায়ক ওয়ার্নার।
ম্যাজিক্যাল ১৭ তম ওভারে বাংলার স্পিনারের কাঁধে চড়েই কঠিন ম্যাচে উতরে গেল কোহলির দল।
আরো পড়ুনঃ নেভার-এন্ডিং দুঃস্বপ্ন”: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বায়ো-বুদ্বুদ চ্যালেঞ্জ
মনীশ পান্ডের ব্যাটে তাগিদ কম দেখা গেলেও ৩৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন অজি ওপেনার। ১৪ তম ওভারে জেমিসনের বলে ক্রিশ্চিয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ওয়ার্নার ফিরলেও সানরাইজার্সের কাজ কঠিন মনে হয়নি। দলের রান তখন ১৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬। ১৬ ওভার অবধিও পাল্লা ভারি ছিল সানরাইজার্সের দিকেই।
কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম, দ্বিতীয় এবং অন্তিম বলে যথাক্রমে বেয়ারস্টো, পান্ডে এবং সামাদকে ফিরিয়ে সমীকরণ বদলে দেন শাহবাজ। শেষ তিন ওভারে সানরাইজার্সের প্রয়োজন গিয়ে দাঁড়ায় ৩৪ রান। বিজয় শংকর, জেসন হোল্ডাররা চাপের কাছে মাথা নোয়ালেও ৯ বলে ১৭ রান করে শেষ চেষ্টা করেছিলেন রশিদ খান। কিন্তু অন্তিম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ রান-আউট হয়ে ফিরতেই সানরাইজার্সের আশা শেষ হয়ে যায়।
শেষ ২ বলে ৮ রান দরকার থাকলেও অন্তিম ওভারের পঞ্চম বলে শাহবাজের উইকেট হারায় সানরাইজার্স। শেষ বলে এক রান আসে ভুবনেশ্বরের ব্যাট থেকে।