টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে সুনীল গাভাসকার জানিয়েছিলেন, ৭ থেকে ১২-১৩ ওভার ভারতের ব্যাটাররা স্কোরবোর্ড সচল রাখতে পারে না। সানির প্রতিধ্বনি শোনা গেল শচীন তেন্ডুলকারের মুখে। মাস্টার ব্লাস্টারের দাবি, পাওয়ার প্লের পর থেকেই ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ভারত।
শচীন বলেন, ‘৬ ওভারের শেষে ভারতের রান ছিল ৩৫। কিন্তু পরের চার ওভারে আমরা মাত্র ১৩ রান করেছি। সেখান থেকেই আমরা সুযোগ হারাতে শুরু করি। সিঙ্গলস নেওয়া যাচ্ছিল না। তাই ব্যাটাররা বড় শট খেলার চেষ্টা করে। আমার মতে সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। সঙ্গে কেন উইলিয়ামসনের বোলিং পরিবর্তনের প্রশংসা করতেই হবে।
ওরা একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সেটা কাজে লাগিয়েছে।’ভারতীয় ব্যাটারদের শট সিলেকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঈশান কিষান, কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সবাই বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। কিন্তু শচীন মনে করেন, কিউয়ি বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের জন্যই বড় শট খেলতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয়রা।
শচীন বলেন, ‘চার উইকেট পড়ার পর চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ৭১ বলে একটাও চার মারতে পারেনি ভারতের ব্যাটাররা। পন্থ ব্যাট করতে আসা মাত্র স্পিনারদের সরিয়ে দেয় উইলিয়ামসন। দারুণ পরিবর্তন। মনে হচ্ছিল ভারত ক্যাচ প্র্যাকটিস দিচ্ছে। নিউজিল্যান্ড বোলাররা ম্যাচ নিজের মুঠোয় রেখেছিল। তাই বড় শট খেলতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা।’ মিচেল এবং উইলিয়ামসনের প্রশংসা করেন মাস্টার ব্লাস্টার।