তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১০৮ রান। ১১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই এই লক্ষ্য টপকে যায় পাকিস্তান।
মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। ৫ বলে ১ রান করেন বাবর, বোল্ড হন মুস্তাফিজুর রহমানের বলে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ২৭ রান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে বোলিংয়ের সুযোগ না দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন লেগস্পিনার বিপ্লব। ফখর জামানের উইকেট শিকারের সুযোগও এনে দেন এই লেগি, তবে ক্যাচ হাতছাড়া করেন সাইফ হাসান।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর। তবে তাদের জুটিতে রান আসে খুব ধীরগতিতে। প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ৫০ রান। ১০ ওভার শেষে হাত খুলে খেলা শুরু করেন তারা। এরইমধ্যে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুস্তাফিজ।
৪০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন ফখর। পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সাইফ ও রিজওয়ান। বিপ্লবের শেষ ওভারে রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন তাসকিন আহমেদ। পরের বলেই রিজওয়ানের ক্যাচ নেন সাইফ। একাধিক দুর্ভাগ্যের পর অবশেষে উইকেট পান বিপ্লব। ৪৫ বলে ৩৯ রান করেন রিজওয়ান।
হায়দার আলিকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ফখর। পাকিস্তান পায় ৮ উইকেটের জয়। ৫১ বলে ৫৭ রান করেন ফখর। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান (০) ও নাঈম শেখ (২)। দ্বিতীয় উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৫ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাজমুল হোসেন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আত্মহুতি দিয়ে বিদায় নেন ২১ বলে ২০ রান করা আফিফ।
শান্তর সাথে জুটিতে ২৮ রান যোগ করেন রিয়াদ। হারিস রউফের শিকার হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ১৪ বলে ১২ রান। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন শান্ত। শাদাব খানের বলেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি বাউন্ডারিতে।
মিডল অর্ডারের ব্যথতায় বাংলাদেশ থামে মাত্র ১০৮ রানে। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে টাইগাররা সংগ্রহ করেছিল ৬৪ রান। পরের ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রান করে মাত্র ৪৫। বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল মোট ৫৭টি ডট বল, মূলত এখানেই ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলে স্বাগতিকরা।