লিটন দাস টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন, মুশফিকুর রহিম টেস্টে সপ্তম সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৬৮.৪ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ২০৪ রান।
চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে যে এগিয়ে বাংলাদেশ, আর তার মূলে যে লিটন-মুশফিকের দারুণ ব্যাটিং, তা তো আর আলাদা করে বলতে হয় না। ম্যাচের পর দুই দলের যিনিই সংবাদমাধ্যমে কথা বলুন, এ দুজনের প্রশংসা থাকারই কথা। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলীর কথায়ও ব্যতিক্রম হলো না।
আলোকস্বল্পতায় ৫ ওভার আগেই খেলা শেষ হতে দেখা দিন বাংলাদেশ শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে। অথচ বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়েছিল প্রথম সেশনে, ৪৯ রানের মধ্যেই।
সেখান থেকে লিটন আর মুশফিকের দারুণ লড়াইয়ের প্রশংসায় হাসান আলী বললেন, তাঁদের কারণেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা পাকিস্তানের হাত থেকে ছুটে গেছে। বাংলাদেশকে ৩৫০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার আশার কথাও বলেছেন হাসান আলী।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিনে আজ বাংলাদেশ কতটা কী করতে পারে, সেদিকে চোখ ছিল সবার। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের দৈন্যতাই বেশি চোখে পড়েছিল। প্রথম তিন ব্যাটসম্যান—সাদমান, সাঈফ ও নাজমুল আউট হয়েছেন ঠিক ১৪ রান করে। এরপর ৬ রান করা মুমিনুল হকও ফিরে গেলে দলের রান অর্ধশতক পেরোনোর আগেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে লিটন ও মুশফিকের লড়াই শুরু। ৪ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ পরের দুই সেশনে আর উইকেটের পতন দেখেনি। দ্বিতীয় সেশনে দুজন মিলে এনে দিয়েছেন আরও ১০২ রান। ততক্ষণে লিটন ও মুশফিক দুজনেরই অর্ধশতক হয়ে গেছে।
আর ৫ ওভার আগে শেষ দেখা তৃতীয় সেশনে এল ৮২ রান। লিটন ততক্ষণে শতকের দেখা পেয়ে গেছেন, তবে তাঁকে দেখে হাতে ও পায়ে টান লেগেছে বলে মনে হচ্ছিল। মুশফিক অন্য প্রান্তে আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়।