শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮০ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়াকে জেতান তিনি।
অস্ট্রেলিয়া কি নতুন ফিনিশার পেয়ে গেল? আইপিএলে বিরাট কোহলীদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামতেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সেই ম্যাক্সওয়েলই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যে খেলা খেললেন তাতে এই প্রশ্ন উঠছে। ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ৮০ রান প্রথম ম্যাচে জেতাল অস্ট্রেলিয়াকে। এক দিনের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন অ্যারন ফিঞ্চরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাধারণত মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলেও সেই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাত নম্বরে নেমে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতালেন তিনি। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি তাঁকে ফিনিশার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচগুলিতে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং অর্ডারেই হয়তো সেই উত্তর লুকিয়ে আছে।
পাল্লেকেলেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুণতিলক, নিসঙ্ক ও মেন্ডিসের অর্ধশতরানে ভর করে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করে শ্রীলঙ্কা। গুণতিলক ৫৫, নিসঙ্ক ৫৬ ও মেন্ডিস ৮৬ রান করেন। পাল্লেকেলের উইকেটে বোলারদের জন্য বিশেষ সুবিধা ছিল না। ফলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি কামিন্সরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক ফিঞ্চ ও তিন নম্বরে নামা স্টিভ স্মিথ ভাল খেলেন। ফিঞ্চ ৪৪ ও স্মিথ ৫৩ রান করেন। লাবুশেন, স্টোইনিস, ক্যারি শুরুটা ভাল করলেও কেউ বড় রান করতে পারেননি। দেখে মনে হচ্ছিল সহজেই ম্যাচ জিতবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তখনও ম্যাক্সওয়েলের মার বাকি ছিল। সাত নম্বরে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য কমে হয় ২৮২। প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। নিজের পরিচিত রিভার্স সুইপ, র্যাম্প শট খেলেন তিনি। কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি। মাত্র ৫১ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ছ’টি করে চার ও ছক্কা মারেন। ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ে নিয়ে যান তিনি।