কেকেআর টুর্নামেন্টের তৃতীয় সফলতম দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপারকিংসের পরেই। দু-বার গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হলেও কেকেআরের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ প্লেয়াররা এক মরশুম ব্যর্থ হলেই তাঁকে ছাঁটাইয়ের তালিকায় ঠেলে দেওয়া হয়।
২০২১-এর ফাইনালেও কেকেআর পৌঁছেছিল। তবে সিএসকের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। নিলামের আগে কেকেআর চার তারকাকে রিটেন করেছে- বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
এবার কেকেআরের জার্সিতে এমন পাঁচ তারকাকে দেখে নেওয়া যাক, যাঁরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরার আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজি রিলিজ করে দেয়-
সঞ্জু স্যামসন:
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তারকা। রাজস্থানের অধিনায়ক তো বটেই, আগামী কয়েক মরশুমের জন্য রয়্যালসরা তারকাকে রিটেনও করেছে।
তবে অনেকেই হয়ত ভুলে গিয়েছেন। কেকেআর ২০১২ মরশুমে নিলাম থেকে তারকাকে কিনেছিল। তবে পরে ছেড়ে দেয়। এর পরেই রাজস্থানের জার্সিতে সঞ্জু স্যামসন আইপিএলে অভিষেক ঘটান। তারপর এখনও সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই রয়েছেন তারকা।
সিদ্ধার্থ কউল:
২০০৮ সালে কেকেআর স্কোয়াডে ছিলেন সিদ্ধার্থ কউল। তবে একটাও ম্যাচে খেলে নিজের জাত চেনানোর সুযোগ জোটেনি তাঁর। কোনও ম্যাচ না খেলিয়েই সিদ্ধার্থকে রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। আইপিএল ২০১৩-য় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে অভিষেক ঘটে তারকার। তবে দিল্লিতে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১১ ম্যাচে মাত্র ৬ উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি। এরপরে হায়দরাবাদ স্কোয়াডের হয়ে বেশ কয়েক বছর খেলেন তিনি। সম্প্রতি তারকাকে রিলিজ করেছে সানরাইজার্স।
শ্যেন বন্ড:
কিউয়ি সুপারস্টার পেসার কেকেআরের জার্সিতে এক মরশুম খেলেছেন। তারপরে হঠাৎই আইপিএল থেকে হারিয়ে যান তারকা। বল হাতে মোটামুটি নিজেকে মেলে ধরেছিলেন তারকা। আট ম্যাচে ২৪.৮৮ গড়ে সংগ্রহ করেন ৯ উইকেট। ফিটনেস ইস্যুতে বেশিদিন এরপরে নিজেকে টানতে পারেননি। অবসর নিয়ে নেন। শ্যেন বন্ড আপাতত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ।
ব্র্যাড হজ:
একসময় কেকেআর সংসারে অন্যতম প্রধান অস্ত্র ছিলেন অস্ট্রেলীয় এই তারকা। ২০০৮-এ মাত্র তিনটি ম্যাচে খেলেন নাইটদের হয়ে। ২০০৯-এ দারুণ পারফরম্যান্স মেলে ধরেন তিনি। ১২ ম্যাচে ৪০.৫৫ গড়ে ৩৬৫ রান করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট বিদেশি কোটায় তিনি পরের দিকে বেশিরভাগ ম্যাচে সুযোগ পাননি প্ৰথম একাদশে। কেকেআর ছাড়ার পরে কোচি টাসকার্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়েও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স মেলে ধরেন। তারপর আইপিএল থেকে অবসর নিয়ে নেন।
মহম্মদ শামি:
২০১২ সালে মহম্মদ শামি আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে। আর সেই বছরেই গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কেকেআর প্ৰথমবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়। টানা দুই মরশুমে ১১ ম্যাচ খেলে মহম্মদ শামি মাত্র ২ উইকেট নিয়েছিলেন। তারপরেই কেকেআর তাঁকে রিলিজ করে দেয়।
তারপরে শামি যোগ দেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলে। ২০১৮ পর্যন্ত দিল্লিতে কাটানোর পরে শামি পাঞ্জাব কিংসে যোগ দেন ২০১৯-এ। এবছর মেগা নিলামের আগে শামিকেও রিলিজ করে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস।