ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে সাকিব আল হাসান যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে, বাংলাদেশ দল তখন নিচ্ছে বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দলের সেরা তারকাকে ছাড়া প্রস্তুতি নিতে হলেও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক ও সর্বশেষ পর্ষদের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটিই জানালেন গণমাধ্যমকে। আকরাম জানান, সাকিব ম্যাচ খেলার মধ্যে থাকায় জাতীয় দলের তার যোগদানে বিলম্ব হওয়া নিয়ে দলের কোনো অসুবিধা নেই। তাই ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও সাকিবের এনওসির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আকরাম বলেন, ‘খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের আগে যত ম্যাচ খেলবে তত ভালো। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা তো অনেক ছোট, তিন ঘণ্টার খেলা। আমার মনে হয় এটা ওর জন্য এবং দলের জন্য অনেক ভালো হবে।’আকরাম জানান, আইপিএলে খেলা শেষ করে তবেই বাংলাদেশ দলের সাথে যোগ দেবেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘ও খেলছে এটা আমাদের জন্য ভালো। যখনই ওর খেলা শেষ হয়ে যাবে তখনই বাংলাদেশ দলের সাথে যোগ দেবে। সাকিব ও মুস্তাফিজের ব্যাপারে আমরা দুশ্চিন্তা করছি না।’
রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল থেকে ছিটকে পড়ায় মুস্তাফিজ অবশ্য ইতোমধ্যে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন, শুরু করেছেন অনুশীলনও। অন্যদিকে সাকিবের দল কলকাতা উঠেছে কোয়ালিফায়ারে। আগামী ১৩ অক্টোবর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ১৫ অক্টোবর আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশ দল ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। আইপিএলে সাকিবদের যাত্রা শেষ না হওয়ায় প্রথম ম্যাচ তো বটেই, দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও সাকিবের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।