সিরিজে টিকে থাকতে হলে বিশাখাপত্তনমে জিততেই হত ভারতকে। সেটাই করে দেখালেন ঋষভ পন্থরা। ৪৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত।
বড় রান করলেন ভারতের দুই ওপেনার। ছন্দে ফিরলেন ভারতীয় বোলাররা। দলগত লড়াইয়ে জয়ে ফিরল ভারত। বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৮ রানে হারিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখলেন ঋষভ পন্থরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৯ রান করে ভারত। অর্ধশতরান করেন ঈশান কিশন ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান তাড়া করতে নেমে যুজবেন্দ্র চহাল ও হর্ষল পটেলের দাপটে ১৩১ রানে শেষ হয়ে যায় তেম্বা বাভুমাদের ইনিংস।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন ভারতের দুই ওপেনার। প্রথম ওভার থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন গায়কোয়াড় ও ঈশান। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন গায়কোয়াড়। আনরিখ নোকিয়াকে এক ওভারে পর পর পাঁচ বলে পাঁচটি চার মারেন তিনি। মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতরান করেন গায়কোয়াড়। ওভার প্রতি ১০-এর গতিতে রান উঠছিল। প্রথম সাত ওভার ডিআরএস প্রযুক্তি ছিল না মাঠে। তাতে অবশ্য সমস্যায় পড়েনি ভারত।
ভারতকে প্রথম ধাক্কা দেন কেশব মহারাজ। ৫৭ রানের মাথায় আউট হন গায়কোয়াড়। উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছিলেন ঈশান। তিনিও নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তার পরেই ভারতকে বড় ধাক্কা দেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। ৫৪ রানের মাথায় ঈশানকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রানের গতি কমে যায়। ১২.১ ওভারের পর থেকে ৩৩ বল কোনও বাউন্ডারি হয়নি। মাঝের ওভারে দুরন্ত বল করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। উইকেটের বাইরের দিকে বল করছিলেন প্রিটোরিয়াসরা। গতির হেরফের করছিলেন। ফলে বড় শট খেলতে পারছিলেন না পন্থরা। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। মাত্র ছ’রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি দীনেশ কার্তিকও। শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলেন হার্দিক পাণ্ড্য। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৭৯ রান করে ভারত। হার্দিক ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।