জন্ম ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল। হিসাবটা হয়তো করে ফেলেছেন এরই মধ্যে। আজ শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯তম জন্মদিন। জন্মদিন আর বয়সের সঙ্গে মিলিয়ে ভারতীয় কিংবদন্তির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঘেঁটে দেখলে ‘৪৯’ সংখ্যাটার কী আলাদা কোনো মাহাত্ম্য আছে? ওয়ানডেতে তাঁর সেঞ্চুরি–সংখ্যার সঙ্গে মিলে যায় এই ‘৪৯’। এর বাইরে?
শচীন এবং ‘৪৯’
• ওয়ানডেতে বিশ্ব রেকর্ড ৪৯টি সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩টি সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির।
• টেস্ট দুবার ৪৯ রান করেছেন টেন্ডুলকার। ২০০৮ সালে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও ২০০৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
• ওয়ানডেতেও দুবার ৪৯ রানে ফিরেছেন টেন্ডুলকার। ১৯৯১ সালে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ২০০২ সালে ওভালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
• টেস্টে একবার এক ইনিংসে ৪৯ বল খেলেছেন টেন্ডুলকার। ২০০১ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি
• ওয়ানডেতে দুটি ইনিংসে ৪৯ বল করে খেলেছেন টেন্ডুলকার, ১৯৯৪ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ও ২০০০ সালে কটকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
• টেস্টে দুবার ৪৯ মিনিট ব্যাটিং করেছেন টেন্ডুলকার, ২০০৪ সালে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও ২০০৬ সালে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
• ওয়ানডেতে চারবার ৪৯ মিনিট ব্যাটিং করেছেন টেন্ডুলকার।
• ওয়ানডেতে বোলিংয়ে দুবার ৪৯ রান দিয়েছেন টেন্ডুলকার।
• টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং গড় ৪৯.৫২।
• ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড় ৪৯.৬০।
• আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক ছিলেন না, এমন ম্যাচে টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড় ৪৯.৫০।
• আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড় ৪৯.১১। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৪৯ ব্যাটিং গড় ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের ১০০তম শতকটি ছিল ওয়ানডেতে তাঁর ৪৯তম শতক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের ১০০তম শতকটি ছিল ওয়ানডেতে তাঁর ৪৯তম শতকপ্রথম আলো ফাইল ছবি
৪৯তম ম্যাচে টেন্ডুলকার
• টেস্টে ৪৯তম ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২২ রান করেছিলেন টেন্ডুলকার। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৭ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে।
• ৪৯তম ওয়ানডেতে ১ রানে আউট হয়েছিলেন টেন্ডুলকার, ১৯৯৩ সালে চন্ডীগড়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
• আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৪৯তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি টেন্ডুলকার। ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ম্যাকেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ২ বল হওয়ার পরই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।