সম্প্রতি কোনো দেশের নাম না তুলে ‘শত্রুদেশে’র কথা তুলেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সেটি দানিশ কানেরিয়া ইস্যুতেই। কানেরিয়া ‘শত্রুদেশে’র সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন, যা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
আফ্রিদির বক্তব্যটা ছিল এমন। কিছুদিন আগে আফ্রিদিকে ‘চরিত্রহীন’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ ইত্যাদি বলেছিলেন কানেরিয়া। পাকিস্তান দলে তাঁর খেলার সময় আফ্রিদি কানেরিয়ার প্রতি ধর্মীয় বিদ্বেষ পোষণ করতেন, তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন, সাবেক এই লেগ স্পিনারের অভিযোগ ছিল এমনই।
আফ্রিদি কানেরিয়ার সে বক্তব্যের জবাবও দিয়েছেন। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে সাবেক দুই সতীর্থের কথার লড়াই এখনো চলছে।
নাম না নিলেও আফ্রিদির সেই ‘শত্রুদেশ’ যে ভারত—এটা বুঝতে কারও বাকি নেই। কানেরিয়া এবার আফ্রিদিকে পাল্টা জবাব দিলেন ভারত প্রসঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফ্রিদির বক্তব্যের জবাবে লিখেছেন, ‘ভারত কখনোই পাকিস্তানের শত্রুদেশ নয়।’
কানেরিয়া আফ্রিদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগই তুলেছিলেন। পাকিস্তান দলে খেলার সময় আফ্রিদির মনোভাব ভিন্নধর্মাবলম্বী কানেরিয়ার প্রতি যে মোটেও ভালো ছিল না, সেটি বলেছিলেন।
শহীদ আফ্রিদি আফ্রিদি এর জবাবে পুরো বিষয়টিকেই বলেছেন মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনিও কানেরিয়ার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ধর্ম নিয়ে আফ্রিদির জবাব, তখন তিনি নিজেও তাঁর ধর্মটা বোঝার চেষ্টা করছিলেন।
আফ্রিদি বলেছেন, কানেরিয়া তাঁর কাছে ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁর সঙ্গে আফ্রিদির জানাশোনা। কানেরিয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আফ্রিদির বক্তব্য, ‘সে কেন এমন অভিযোগ তখন পিসিবিকে জানায়নি। কেন এত বছর পর এসব কথা বলছে সে। কানেরিয়া আমাদের শত্রুদেশের সংবাদমাধ্যমকে এমন মিথ্যা কথা বলছে। এতে ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরি হতে পারে।’
কানেরিয়া টুইটারে পাল্টা জবাবে লিখেছেন, ‘ভারত কখনোই আমাদের শত্রু নয়। আমাদের শত্রু তারাই, যারা দুই দেশের মানুষকে ধর্মের নামে উসকে দেয়। আফ্রিদি যদি ভারতকে “শত্রুদেশ” ভাবেন, তাহলে কেন তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন?’
আফ্রিদি–কানেরিয়া কাদা–ছোড়াছুড়ির শেষ কোথায়!