বৃহস্পতিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এই অবিস্মরণীয় জয়ের অন্যতম নায়ক ক্যাপ্টেন বাবর আজম। ৮৩ বলে 114 রানের দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য তিনি ম্যাচসেরা পুরস্কার জিতেছিলেন।
অথচ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির মতে, বাবর আজম এখনও সত্যিকারের ম্যাচ উইনার হতে পারেননি। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বর্তমান অধিনায়ক বাবরের বিপক্ষে নিজের এই মূল্যায়ন জানান আফ্রিদি।
সেই অভিনন্দন বার্তায় বাবরের সমালোচনা করলেও আরেক সেঞ্চুরিয়ান ইমাম উল হক, ম্যাচ শেষ করে খুশদিল শাহ এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রশংসা করেন শহিদ আফ্রিদি। যা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমিরা।
আফ্রিদি তার টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘অসাধারণ জয়। বাবর আজমের দারুণ শুরু। তবে শেষ দিকে ছন্দ হারিয়ে ফেলে। তাকে ম্যাচ উইনার হিসেবে দেখার অপেক্ষায় আছি। যাই হোক খুশদিল শাহ, ইমাম উল হক, শাহিন আফ্রিদিদের দারুণ পারফরম্যান্স। তোমরা আমাদের গর্বিত করেছো। ধরে রাখো।’
এর প্রতিক্রিয়ায় আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘বাবর তার খেলা শেষ ১৯ বলে ২৩ রান নিয়েছে। তাই আফ্রিদিরক কথা হয়তো কিছুটা সত্য। কিন্তু বাবরকে ম্যাচ উইনার হিসেবে দেখার অপেক্ষায় থাকার কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ম্যাচ উইনিং ইনিংস না হলে কোনটি?’
কানিয়ার সালার লিখেছেন, ‘সে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে? সে তো ১৩৭ স্ট্রাইকরেটে ৮৩ বলে ১১৪ রান করে দিলো। এটি যদি ম্যাচ জেতানো ইনিংস না হয়, তাহলে আমি আমার জীবনে কোনো ম্যাচ জেতানো ইনিংসই দেখিনি।’
আব্দুল ওয়াসায় লিখেছেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা। সে পাকিস্তানের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে দিলো, তবু সমালোচনা সইতে হচ্ছে। এটি ঠিক নয় লালা।’
হামনা নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি তিন নম্বরের ব্যাটারকে ম্যাচ শেষ না করার জন্য দুষছেন? বাবর যখন এসেছিল তখন ১৮৭ বলে ২৩১ বাকি ছিল। আউট হওয়ার সময় এটি দাঁড়ায় ৩৫ বলে ৪০ রান। যেখানে দরকার, সেখানে সমালোচনা করুন। নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ দূরে রাখুন।’