বাবর আজমকে কেউ দলে নেয়নি, নাকি বাবর আজম দ্য হান্ড্রেডে খেলার ইচ্ছাই প্রকাশ করেননি—ক্রিকেট বিশ্বে প্রশ্নটা ঘুরছে। কাল ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক ১০০ বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেডের খেলোয়াড় ড্রাফট হয়ে যাওয়ার পরই প্রশ্নটি উঠেছে।
ড্রাফটে পাকিস্তানের সব সংস্করণের অধিনায়কের নাম ছিল, কিন্তু কোনো দলই তাঁকে নেয়নি। বাবরকে নিয়ে ওঠা প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া গেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের একটি খবরে। দ্য নিউজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটিতে লিখেছে, ড্রাফটে নাম থাকলেও বাবর ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই প্রকাশ করেননি।
তিনি বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই মনোযোগ দিতে চান। দ্য নিউজকে পিসিবির সূত্র বলেছে, ‘বাবর কখনোই অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করেনি। এটাই বলে দেয় যে সে শীর্ষ ক্যাটাগরির বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ড্রাফটে থাকলেও টুর্নামেন্টটি খেলার জন্য আগ্রহী ছিল না। সে চাইলে ইংলিশ কাউন্টির যেকোনো দলেই সহজে খেলতে পারে। সে আসলে ঠাসা সূচির চেয়ে আসন্ন গ্রীষ্মে শুধু জাতীয় দলের হয়ে খেলাতেই মনোযোগ দিতে চায়।’
৮ থেকে ১২ জুনের মধ্যে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। এর সঙ্গে আছে শ্রীলঙ্কা সফর (দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে) এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। এর বাইরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি তো আছেই। এবারের গ্রীষ্মে পাকিস্তানের ব্যস্ত সূচি আছে। হয়তো এ কারণেই বাবর বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছেন পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়।
এঁদের মধ্যে আজহার আলী খেলছেন উস্টারশায়ারে, নাসিম শাহ গ্লস্টারশায়ারে, শাহিন শাহ আফ্রিদি মিডলসেক্সে, মোহাম্মদ আব্বাস হ্যাম্পশায়ারে, মোহাম্মদ রিজওয়ান সাসেক্সে, হাসান আলী ল্যাঙ্কাশায়ারে। এ ছাড়া শান মাহমুদ, সাদ খান ও দানিশ আজিজও ইংল্যান্ডের লিগে খেলার জন্য চুক্তি করেছেন। এঁদের সবাইকেই অনাপত্তিপত্র দিয়েছে পিসিবি। পাকিস্তান বোর্ডের সূত্র দ্য নিউজকে বলেছে,
বাবর চাইলেই অনাপত্তিপত্র পেতেন। কিন্তু বাবর এই সময়ে বিশ্রাম নিয়ে চাঙা হয়েই জাতীয় দলের জন্য মাঠে নামতে চাইছেন।