ইঞ্জুরিতে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। ফলে পাকিস্তানের মাটিতে আসন্ন সাদা বলের সিরিজে অনেকটায় অনিশ্চিত ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। অবশ্য শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, ভারতের আইপিএলেও তার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন মিচেল মার্শ। সেখানেই রবিবার ফিল্ডিং অনুশীলনের সময় পশ্চাৎদেশে চোট পেয়েছেন অজি অলরাউন্ডার। যে চোটে পাকিস্তান সিরিজের পুরোটা থেকেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে মিচেল মার্শের। সোমবার ভার্চুয়াল এক প্রেস কনফারেন্সে এমনটাই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
অনুশীলনের সময় সে (মিচেল মার্শ) তার পশ্চাৎদেশে আঘাত পেয়েছ। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং তার আঘাত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে গতকাল সে যেমন অনুভব করছে, তার ভিত্তিতে আমার মনে হয় না আসন্ন সিরিজের জন্য (মার্শ) উপলব্ধ হবেন। মিচেল মার্শের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে দেখা মিলতে পারে টেস্ট সিরিজে ভালো করা ক্যামেরন গ্রিনকে। অস্ট্রেলিয়ার রঙ্গিন পোশাকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি ওয়ানডে খেলেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।
তবে টেস্টের মতো সীমিত ওভারেও আলো ছড়াবেন গ্রিন, বিশ্বাস করেন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ক্যাম (ক্যামেরন গ্রিন) খেলবে এবং সম্ভবত সেই মিডল অর্ডারের ভূমিকায় ব্যাট করবে। আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি সে একজন দুর্দান্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সে এমন একজন, যে তার টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশ ধারাবাহিক। ব্যাট এবং বলের সাথে তার প্রভাবকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই। তাই তাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সত্যিই ব্যাকুল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সাদা বলের সিরিজে ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডের মতো তারকা ক্রিকেটারদের পাবে না অস্ট্রেলিয়া। কেননা পাকিস্তানে সাদা বলের সিরিজ থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন তারা। এছাড়া ইঞ্জুরি পড়ে ছিটকে গেছেন স্টিভ স্মিথ, কেন রিচার্ডসনও। এবার ইনফর্ম মিচেল মার্শের অনুপস্থিতিতে কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
অন্যদিকে দুশ্চিন্তায় পড়েছে মিচেল মার্শের আইপিএল দল দিল্লী ক্যাপিটালস। আগে থেকেই ইঞ্জুরি সমস্যা ভুগছেন দলটির দক্ষিণ আফ্রিকান রিক্রুট আনরিখ নরকিয়া। এবার নতুন করে ৬.৫০ কোটি রুপিতে কেনা মার্শের ইঞ্জুরি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ালো দিল্লীর সামনে।