দশ ঘণ্টা ব্যাটিং করলেন বাবর আজম! বিশ্বক্রিকেটকে টেস্ট ক্রিকেট কি? বুঝালেন সম্রাট বাবর

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করাচি টেস্টে পরাজয় এড়াতে সফল হল পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি ড্র হয়েছে। পাকিস্তানকে ৫০৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ম্যাচের পঞ্চম দিনে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৪৩ রান করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পরাজয় এড়াতে ক্যাপ্টেন বাবর আজমের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তিনি ৬০৭ মিনিট ব্যাট করেছেন। অর্থাৎ ১০ ঘণ্টার বেশি ক্রিজে ছিলেন তিনি। এটাও একটা রেকর্ড। মাত্র ৪ রানের জন্য টেস্টে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ফস্কালেন বাবর। তবে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সফল হন তিনি। নাথান লায়নের বলে ১৯৬ রানে আউট হন বাবর আজম। বাবরের এই স্কোর চতুর্থ ইনিংসে যে কোনো অধিনায়কের করা সর্বোচ্চ স্কোর।

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটনকে পেছনে ফেলেছেন বাবর। ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে আথারটন ১৮৫ রান করেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটর বেভান কংডন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের নটিংহাম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তিনি ১৭৬ রান করেছিলেন।

এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে বাবরের সেরা স্কোর ছিল ১৪৩ রান। এটি বাবরের টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিও ছিল। তাঁর ১৯৬ রানের ইনিংসে বাবর ৪২৫টি বল মোকাবেলা করেন। ২১টি চার ও একটি ছক্কাও মেরেছিলেন। এক প্রান্তে টিকে রইলেন বাবর আজম-

অস্ট্রেলিয়ার ৫০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিনে চায়ের আগে পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করেছিল পাকিস্তান। বাবর আজম ১৬৮ ও মহম্মদ রিজওয়ান ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৯৬ রান। তবে দলের মনোযোগ ছিল ম্যাচ ড্র করার দিকে। রিজওয়ান ১৭৭ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। ২১ রানে দলের দুই উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু বাবর আজম ও আবদুল্লাহ শফিক তৃতীয় উইকেটে ২২৮ রান যোগ করে দলের উপর থেকে পরাজয়ের আশঙ্কা অনেকটাই এড়ান। দুজনেই তিন সেশন ব্যাট করেছেন। ৯৬ রান করে আউট হন শফিক। কিন্তু বাবর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দলকে টানতে থাকেন।