দশক সেরা-20 ক্রিকেটার আফগান স্পিনার
আফগানিস্তানের উদীয়মান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ক্রিকেটের বরপুত্র এখন আফগানিস্থানের রশিদ খান, করে যাচ্ছেন একের পর এক কৃর্তি।
আফগানিস্তানের উদীয়মান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার জন্মগ্রহণ করেন নানগারহরে ১৯৯৮ সালে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যাত্রা শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ারের শুরু। এর পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তার প্রতিভার কারণে। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ছিল সেই জয়গাথার শুরুর দিন যা এই ক্রিকেটার জন্যে বয়ে এনেছেন সম্মান এবং মর্যাদা।
একজন ক্রিকেটার শুধু প্রতিভাই নয় হয়ে উঠেছেন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র
২০১৬ তারিখে জাতীয় দলের নামের তালিকা প্রকাশ করে। ১৫-সদস্যের দলটিতে তিনিও অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। পাকিস্তান ক্রিকেট লীগেই প্রথম পদযাত্রা পেশোয়ার জালমি’র প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।
রশীদ বড় হতে থাকেন তার বড় ভাইদের সাথে ক্রিকেট খেলে এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে, যার বোলিং এ্যাকশনকে তিনি নিজের বোলিং এ্যাকশনে নিয়ে আসেন, তিনি তার আদর্শ হিসেবে বেছে নেন।
রশিদ খান আরমান তার নাম এবং আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন বিশ্বব্যাপী। অনন্য কৃর্তি গড়ে আজ যে আসনে বসেছেন তা সত্যিই প্রশংশনীয়। আর তার গুগুলি বুঝতে তো নাকানি চোবানি খেতে হয় অনেককেই। দেশের হয়ে হোক আর আইপিএল, কিংবা বিদেশের
যেকোন প্লেয়ার। দেশের হয়ে হোক আর আইপিএল, কিংবা বিদেশের অন্যান্য টি-২০ লিগ তার গুগলি কাবু করেছে অনেককেই।
চার ওভার ট্রাজেডি
চার ওভার আইপিএলে বিশাল এক অনন্য কৃর্তি। যেকোন ম্যাচের মোড় গোড়াতে সময় নেন না এই খেলোয়াড়। আজ বিশ্বের অনন্য রোল মডেল ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বের দরবারে হয়ে যাচ্ছেন অন্য লেভেলের খেলোয়াড়। টি-২০ লিগ এর আইপিএলে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বরাবরই দিতে হয় বিভিন্ন সুবিধা , কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান এই এই তেজস্বী খেলোয়াড়কে।
ব্যাট হাতেও কম জানেন না তিনি
বড় ছয়ের তালিকেও নিমিষেই নিজের করে নেন এই খেলোয়াড়। এই বিদ্ধন্সী রূপ বড়ই জ্যোতি ছড়ায়। রশিদকেই আফগানের প্রধান অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। টি-২০ বোলিং ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রশিদ খান। নাম্বার ওয়ান পজিশনে একজন আফগান ক্রিকেটার হওয়া সত্যিই স্মম্ভাবনার।
কিছুদিন আগে রশিদ খান বলেছিলেন, আফগানিস্তান বিশ্বকাপ জিতলেই বিয়ে করবেন
শুরুতে ভালো না করলেও টানা তিন ম্যাচ দারুণ খেলছেন। তাঁর দল বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সও ভালো অবস্থানে আছে। আচমকা এ দুজনকে এক করে দিল গুগল। কিন্তু কেন এখনো অবিবাহিত রশিদকে বিবাহিত বলছে গুগল এবং বিবাহিত বলেই ক্ষান্ত হচ্ছে না। একেবারে কোহলির স্ত্রীকেই রশিদের জন্য পছন্দ হচ্ছে তাদের!
সবকিছুর পর কথা হল এই ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র এখন পুরো বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণার নাম। যাকে বিশ্ব স্মরণ করে শ্রদ্বাভরে এবং উপভোগ করেন তারা খেলা। ঘূর্ণি জড়ান তার বোলিং জাদুতে এবং প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন একের একের পর এক কৃর্তি।