বাবর আজমের অধীনে পাকিস্তান দল দারুণ পারফর্ম করছে। তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিয়মিত। বাবরের মতই প্রতিভা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছিলেন আহমেদ শেহজাদ। যদিও প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি তিনি।
২০১৯ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন শেহজাদ। এরপর বাজে ফর্ম আর ইনজুরির কারণে দলকে ছিটকে যান। ২০১৭ সালের পর পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে আর টেস্টও খেলা হয়নি এই ওপেনিং ব্যাটারের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেহজাদ সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনিসকে নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
২০১৬ সালে শেহজাদকে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ওয়াকার। যেখানে, শেহজাদকে দলে জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই সাবেক কোচ। তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি
যদিও শেহজাদের দাবি তাকে তার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের কোনো সুযোগই দেয়া হয়নি। সেই সময় মুখোমুখি বসে এগুলো আলোচনা করা যেত বলেও মনে করেন পাকিস্তানের এক সময়ের এই ওপেনার। এ কারণে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবি শেহজাদের।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে রিপোর্টটি দেখিনি। কিন্তু পিসিবির কর্মকর্তারা বলেছেন এই মন্তব্যগুলো আমাকে নিয়ে করা হয়েছে। আমার মনে হয় এগুলো মুখোমুখি আলোচনা করা যেত এবং আমি চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য তৈরি ছিলাম। এরপর আমরা বুঝতে পারতাম কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। তাদের কথাগুলো আমার ক্যারিয়ারের ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে আমি যখন নিজেকে তুলে ধরতে পারিনি। আমার মনে হয় এটা পূর্বপরিকল্পিত এবং তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিলেন।’
সিনিয়র ও সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়েও ক্ষোভ ঝেড়েছেন শেহজাদ। তিনি মনে করেন পাকিস্তানের ক্রিকেটে কেউ কারো সাফল্য সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটাররা তরুণদের কোনো সাহায্য করতে চান বলেও মনে করেন তিনি। এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনি না থাকলে কোহলি এতোটা সফল হতে পারতেন না বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।
শেহজাদ বলেন, ‘আমি এটা আগেও বলেছি এবং এটা আবারও বলছি কোহলির ক্যারিয়ার এতো ভালো এগিয়েছে কারণ সে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাহায্য পেয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানে কেউ কারো সাফল্য সহ্য করতে পারে না। আমার সিনিয়র প্লেয়াররা এবং সাবেক ক্রিকেটাররা কারো সাফল্য দেখে হজম করতে পারে না। এটাই হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে।’