রাজকোটে দুরন্ত জয়ে ভারত পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টেম্বা বাভুমাদের বিরুদ্ধে ৮২ রানে জিতে সিরিজ ২-২ করেন ঋষভ পন্থরা। আর এই ম্যাচে ফের একবার নিজের জাত চেনান দীনেশ কার্তিক । ছয়ে ব্যাট করতে নেমে কার্তিক ২৭ বলে ৫৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ৯টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন চেন্নাইয়ের উইকেটকিপার-ব্যাটার। কার্তিক ২০৩.৭০-র স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। অক্টোবরে পরবর্তী টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। আর ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টে ভারতীয় দলে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন কার্তিক। এমনটাই মনে করছেন আশিস নেহরা ।
এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেহরা বলছেন, “কার্তিক শেষ ৩-৪ ওভারে রান করে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতা বলে দেয় যে, ও আরও অনেক কিছু জানে। নির্বাচক থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট, ওর জন্য খুশি। রাজকোটের নক নিঃসন্দেহে ওকে আত্মবিশ্বাস দেবে আগামী দিনে। ব্যাটিং লাইন আপে হার্দিক পাণ্ডিয়া, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গেই থাকবে দীনেশ কার্তিকের অভিজ্ঞতা। ও এমন একজন প্লেয়ার যার সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াতে ভারত ২০০-র ওপর রান তাড়া করেও জিততে পারবে। আমি বলব, ও ইতিমধ্যেই টি-২০ বিশ্বকাপে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছে। ও ২০০-র স্ট্রাইকরেটে ৫৫ করেছে। যা অভাবনীয়।”
আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কার্তিককে ফ্যানরা ভালবেসে নাম দিয়েছেন ‘কামব্যাক কিং’। রাজকোটে কার্তিকের ইনিংস দেখে ফের মোহিত হয়েছেন অনুরাগীরা। কার্তিক ২০১৯ বিশ্বকাপে শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন কার্তিক। তিন বছর পর ফের জাতীয় দলে পেয়েছেন ডাক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে অত্যন্ত সাদামাটা দু’টি মরশুম কাটিয়ে ছিলেন তিনি। চলতি বছর আইপিএলে ৫.৫ কোটি টাকায় তিনি আরসিবি-তে আসেন। দলকে প্লে-অফে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন কার্তিক। যেন নবজন্ম হয় তাঁর। আরসিবি-র হয়ে ল ফুটিয়েছেন তিনি। জীবনের সেরা ফর্মেই ক্রিকেট খেলেছেন কার্তিক। হয়ে ওঠেন ফিনিশার। ১৮৩.৩৩-এর স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৩০ রান।