অতীতে ভারত থেকে একাধিক ফাস্ট বোলার উঠে এসেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে নজর কেড়েছেন উমরান মালিক। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় তিনি টানা বল করে যেতে পারেন। ভারতের মাটিতে অতীত থেকে এই ধরনের পেসার উঠে আসেননি। ফলে তিনি এবার অন্যতম আশা পেসের দিক থেকে। ২৫ বছর বয়সে তিনি যেই বোলিংটা করছেন তাতে তিনি বিপক্ষের কাছে বড় ত্রাস। সময় যত বাড়বে ততই তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। ২০২২ সালের জুন মাসের অভিষেকের পর থেকে তিনি ১৬টা ম্যাচ খেলেছেন। আর নিয়েছেন ২৪টা উইকেট।
ভারতের হয়ে তিনি ১৬টা ম্যাচ খেলেছেন। যারমধ্যে আটটা করে ওডিআই ও টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। বোলিংয়ে তাঁর ইকোনমি রেট থেকে প্রমাণ তিনি আরও বেশি উইকেট পাবেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় তাঁকে তৈরি করেছেন ডেন স্টেইন। প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকার হাতে পড়েই তিনি তৈরি করেছেন নিজেকে। তাঁর বোলিং নিয়ে প্রশংসা করেছেন ওয়াসিম আক্রম, ব্রেট লি। একদিকে তিনি যেখানে কিংবদন্তী বোলারদের থেকে শুভেচ্ছা পাচ্ছেন সেই সময় পাকিস্তানের পেসার সোহেল খান বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উমরানকে নিয়ে। তিনি জানালেন উমরানের মত বোলার নাকি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রয়েছে।
পাকিস্তান থেকে বরাবরই পেসার উঠে আসেন। কিন্তু বড় মঞ্চে গিয়ে বরাবরই ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। সোহেল খান নিজেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। উমরানকে উদ্দেশ্য করে সোহেল খান বলেন, “আমার মনে হয় উমরান মালিক ভালো বোলার। আমি ওর ১-২ টো ম্য়াচ দেখেছি। ও জোরে দৌড়য় এবং ও সব জিনিসের দিকে নজর দেয়। আপনারা যদি মনে করেন ফাস্ট বোলার যে ১৫০-১৫৫ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় বল করে তাহলে লাহোর কালান্দারে চলে যান। ওখানে এইধরনের প্রচুর প্লেয়ার পাবেন। বিশ্বের ১২-১৫ জন প্লেয়ার রয়েছেন যারা ট্যাপ বল ক্রিকেট খেলেন।”
এরপর উমরানকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “উমরানের মত প্লেয়ার প্রচুর আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভর্তি প্লেয়ার রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সব প্লেয়ার উঠে আসেন যেমন শাহিন, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ।”
ভারতীয়দের মধ্যে সবথেকে জোরে বল করেছেন উমরান মালিক। তিনি ১৫৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করেছেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এবার তাঁর লক্ষ্য শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙা। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রেকর্ড ভাঙা-গড়ার থেকেও তাঁর কাছে লক্ষ্য হচ্ছে দেশের হয়ে ভালো খেলা।