ভারতীয় দল এখনও পর্যন্ত অনেক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে। এই সময় দলটি অনেক ম্যাচ জিতেছে আবার কিছু ম্যাচে পরাজয়ের মুখোমুখিও হয়েছে। তবে ক্রিকেটের আসল রোমাঞ্চকর ঘটনা তখনই ঘটে যখন শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায়। ভারতীয় দলও শেষপর্যন্ত অনেক ম্যাচ জিতেছে, যার মধ্যে কয়েকটি টুর্নামেন্টও জিতেছে। প্রতিবেদনের সেই তিনটি মুহূর্তের কথা বলা হয়েছে, যেখানে ভারতীয় দল শেষ বলে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে:
৩) নিদাহাস ট্রফি, ২০১৮ সাল:
২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল মনে থাকবে দীনেশ কার্তিকের শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর জন্য। এই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৬৬ রান তোলে। জবাবে ভারতীয় দলের শেষ ১২ বলে ৩৪ রান দরকার ছিল। বিজয় শঙ্করের জঘন্য পারফরম্যান্সে সকলে ভেবেই নিয়েছিল ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে গেছে আর অন্যদিকে বাংলাদেশের সমর্থকরা ইতিমধ্যেই জয়ল্লাসে মাতেন।
এই সময় ব্যাট করতে আসেন দীনেশ কার্তিক। তিনি ১৯ তম ওভারে ২টি ছক্কা ও ২টি চার মেরে ২২ রান নেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ১২ রান। এই সময় বিজয় শঙ্কর প্রায় দলকে হারের মুখে ফেলেছিলেন। যাইহোক শেষ বলে ৫ রানের দরকার ছিল এবং দীনেশ কার্তিক একটি দুর্দান্ত ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন।
২) এশিয়া কাপ, ২০১৮ সাল:
২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর ভারতীয় দল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। অন্যদিকে দীনেশ কার্তিক ৬১ বলে ৩৭ রান ও ধোনি ৬৭ বলে ৩৬ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন। ফলে উইকেট হারানোর সাথে সাথে ও রিকোয়ার রান রেটও বেড়ে যায়।
যাইহোক শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ রান বাকি ও হাতে ছিল ৩টি উইকেট। ক্রিজে ছিলেন কুলদীপ যাদব ও আঘাতপ্রাপ্ত কেদার যাদব। প্রথম পাঁচটি বলে ৫টি সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর লেভেল হয়। এরপর শেষ বলে ১ রান দরকার ছিল এবং স্ট্রাইকে ছিলেন কেদার যাদব। কোনরকমে তিনি লেগ বাই এ ১ রান নিয়ে ভারতীয় দলকে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন করেন।
১) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০১৩ সাল:
২০১৩ সালে ভারতীয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল। বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ায় ম্যাচটি ২০ ওভারের খেলা হয়। ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তোলে। জবাবে ইংল্যান্ড দল ম্যাচের ১৭ ওভার পর্যন্ত খুবই ভালো জায়গায় ছিল এবং তারা জয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু ইশান্ত শর্মার একটি ওভার পুরো ম্যাচটিকে ঘুরিয়ে দেয়।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইয়ন মরগ্যান ও রবি বোপারাকে আউট করে ম্যাচটিকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন দারুণ বোলিং করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেন। শেষ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য ৬ রান দরকার ছিল কিন্তু ক্রিজে থাকা ট্রেডওয়েল আশ্বিনের বলে ছক্কা মারতে ব্যর্থ হন এবং ভারতীয় দল ৫ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়